বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সুন্দর সুন্দর কথা বললেও করোনা মোকাবিলায় সরকারের কোনো প্রস্তুতি না থাকায় তা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যখাত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এর সঙ্গে সরকারদলীয় লোকজনই জড়িত।’

আজ মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকারের লোকজন প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে বলছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। করোনা তো নিয়ন্ত্রণে নেই; বরং ব্যাপক বিস্তার লাভ করছে। দেখা দিয়েছে মহামারি আকারে। ঢাকাতে যে ব্যাপক মাত্রায় বিস্তার লাভ করেছিল তা এখন মফস্বল ও জেলা শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রামেও করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষ এবার দীর্ঘসময় ধরে বন্যা মোকাবিলা করলেও অসহায় বানভাসীদের জন্য সরকারের সহায়তা যথেষ্ট নয়। নদীশাসন, খনন, বাঁধরক্ষায় নজর না দেওয়ায় এ জনপদে প্রতিবছর বন্যায় ও নদীভাঙনে মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। কুড়িগ্রামকে সর্বগ্রাসী বন্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যে সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার তা সরকারের দিক থেকে আমরা পাচ্ছি না। সরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিচ্ছে না।’

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মঙ্গা, দুর্ভিক্ষের কথা শুনে আসছি। এসব মোকাবিলায় যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা নিচ্ছে না সরকার। নদীকে বাঁচাতে নদ-নদীর ভরাট হওয়া তলদেশ খনন, তীর রক্ষায় বাঁধ দেওয়া দরকার। এসব উন্নয়নের কথা সরকারের মুখে আছে, কাজে নাই। উন্নয়নের কথা মুখে না বলে দ্রুত কুড়িগ্রাম জেলার মানুষকে বাঁচাতে বন্যা, নদীভাঙন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক সরকার।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজুর রহমান, শফিকুল ইসলাম বেবু, যুগ্ম সম্পাদক হাসিবুর রহমান হাসিব, ব্যারিস্টার রবিউল আলম সৈকত প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এক হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক, ৪৫টি পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান বিতরণ করা হয়।