সিরাজুল ইসলামের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অভিনেতা-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। ১৯৬৩ সালে পরিচালক সালাহউদ্দিন পরিচালিত ‘ধারাপাত’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে বিনোদনজগতে যাত্রা শুরু করেন। তবে তাঁর প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র আব্দুল জব্বার খান পরিচালিত ‘নাচঘর’। জীবদ্দশায় তিনি প্রায় তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০১৫ সালের আজকের এই দিনে (২৪ মার্চ) ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। আজ তাঁর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী।
অভিনেতা হিসেবে পরিচিত হলেও নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র। ‘জননী’ ও ‘সোনার হরিণ’ শিরোনামের দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। নাটক নির্মাণ করেছেন ১৫টি। এ ছাড়া ২৫টির মতো প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। ১৯৩৮ সালের ১৭ মে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সিরাজুল ইসলাম।
সিরাজুল ইসলামের অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে—‘নাচঘর’, ‘দুই দিগন্ত’, শীতবিকেল’, ‘অনেক দিনের চেনা’, ‘বন্ধন’, ‘ভাইয়া’, ‘রূপবান’, ‘উজালা’, ‘১৩ নং ফেকুওস্তাগার লেন’ , ‘হীরামন’, ‘নয়নতারা’, ‘আলীবাবা’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘গাজী কালু চম্পাবতী’, ‘জিনা ভি মুশকিল’, ‘কাঞ্চনমালা’, ‘বালা’, ‘নিশি হলো ভোর’, ‘ভাগ্যচক্র’, ‘সপ্তডিঙ্গা’, ‘জাহা বাজে শাহ নাই’, ‘মোমের আলো, ময়নামতি’, অবাঞ্ছিত’, ‘অপরাজেয়, আলোর পিপাসা’, ‘আলোমতি’, ‘মায়ার সংসার’, ‘ভানুমতী’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘দর্পচূর্ণ’, ‘মিশরকুমারী’, ‘বিনিময়’, ‘ছদ্মবেশী’, ‘স্বরলিপি’, ‘নতুন প্রভাত’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘সমাধান’, ‘নিজেরে হারায়ে খুঁজি’, ‘ইয়ে করে বিয়ে’, ‘কে তুমি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সূর্যকন্যা’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘নতুন বউ’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘রাজা মিস্ত্রী’, ‘লাল বেনারসি’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘অবুঝ হৃদয়’, ‘অজান্তে’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ।
১৯৮৪ সালে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘চন্দ্রনাথ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন সিরাজুল ইসলাম।