সাভারে আনসার আল ইসলামের চার সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাকা সাভারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর সক্রিয় চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে উগ্রবাদী বই, পুস্তিকা ও লিফলেট।
র্যাব-৪-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, গতকাল রোববার গভীর রাতে সাভার থেকে এই অভিযান শুরু হয় পরে তা বিস্তৃত হয় রাজধানীর ভাষানটেক, তেজগাঁও ও যাত্রাবাড়ী এলাকায়। এসব এলাকা থেকে জব্দ করা হয় তাদের মজুদ করা লিফটেল ও পুস্তিকা। এভাবেই আজ সোমবার বিকেলে শেষে হয় এই অভিযানের।
আটকরা হলেন চট্টগ্রাম জেলার মো. কলিম উল্ল্যাহ (৩৭), শেরপুর জেলার তাসকিন হাসান আকন্দ ওরফে আনন্দ (১৯), নরসিংদীর মো. জাহাঙ্গীর মিয়া ওরফে জহিরুল ইসলাম মাসুদ (২৩) ও চট্টগ্রাম জেলার মো. আলী রাসেল (৩৪)। এরা সবাই সক্রিয় জঙ্গি সদস্য বলে স্বীকার করেছেন।
র্যাব জানায়, ‘আনসার আল-ইসলাম’ এর চার সদস্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাভার, ভাষানটেক, তেজগাঁও ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এদের মধ্যে মো. কলিম উল্ল্যাহ উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বর্তমানে তিনি অনলাইনে/অফলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করেন। দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে তিনি অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি তাঁদের উদ্ধুদ্ধকরণের জন্যে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি, ভিডিও ও লিফলেট প্রচার করে আসছিলেন এবং নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতেন। মো. তাসকিন হাসান আকন্দ ওরফে আনন্দ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত থেকে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি প্রচার করে আসছিলেন। অপরজন মো. জাহাঙ্গীর মিয়া ওরফে জহিরুল ইসলাম মাসুদ যাত্রাবাড়ীতে একটি মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত ছিল।
এছাড়া মো. আলী রাসেল কারওয়ান বাজারে একটি মাছের আড়তে কাজ করতেন এবং আনসার আল ইসলামে জড়িত থেকে অন্যদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহ চেষ্টা করে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে র্যাব-৪-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।’