অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ জুলফিকার বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী এ আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

জিআরও আরো বলেন, এদিকে রিমান্ড শুনানি উপলক্ষে সকালে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির করা হয় এনামুল হক এনু। এর পরে তাঁর উপিস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বিচারক এই রিমান্ডে আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদন থেকে জানা গেছে, অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে এনামুল হক এনু জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ নিজ নামে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার বাসিন্দা হারুনুর রশীদ ও ওয়ারীর বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ পরস্পর যোগসাজসে যথাক্রমে এক কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে এনুকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। ওই সম্পদ নিজেদের দখলে রেখেছেন। এনুর অবৈধ সম্পদের বর্তমান অবস্থা, কাকে কী উদ্দেশে দেওয়া হয়েছে, তাঁর সঙ্গে আরো কারো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা আবশ্যক।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এনু ও রুপন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ওই দিনই দুর্নীতির মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে দুদক। পরে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার এনু ছিলেন গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তাঁর ভাই রুপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।