সাবরীনা-আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে আরো সাক্ষ্য
নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা ও সিইও আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে আরো একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী রফিকুল ইসলাম। এ নিয়ে এ মামলায় মোট চারজনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মোহাম্মদ পারভেজ বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'এ মামলায় ৪২ সাক্ষীর মধ্যে চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।'
গত ৫ আগস্ট মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতে ডা. সাবরীনা ও সিইও আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপরে মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ১৯ নম্বর আদালতে বদলি হয়ে এলে বিচারক গত ৬ আগস্ট এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। এর পর এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
এ মামলায় ডা. সাবরীনা ও আরিফ চৌধুরী ছাড়া অপর ছয় আসামিরা হলেন শফিকুল ইসলাম রোমিও, জেবুন্নেসা, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী ও বিপ্লব দাস।
অভিযোগপত্রে ডা. সাবরীনা ও আরিফ চৌধুরীকে এই অসাধুচক্রের মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেন বলে বলা হয়েছে।
গত ২৩ জুন সাবরীনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
এরপর ১২ জুলাই সাবরীনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপপুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
ডা. সাবরীনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ও ইসির করা মামলাসহ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেসব মামলায় তাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।