সরকার গণপরিবহনের সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে : রিজভী
সরকার গণপরিবহনের সিন্ডিকেটের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির কার্যালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন রিজভী।
এ সময় রিজভী বলেন, ‘সরকারের শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর কথা থাকলেও সেটি কোনোক্রমেই বাস্তবায়িত হয়নি। দেখা যাচ্ছে, বাস, লঞ্চ, অটোরিকশাসহ সব ধরনের গণপরিবহনেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। দূরপাল্লার বাসগুলোতে ঠেলাঠেলি করে মানুষ ভেতরে ঢুকছে। কোনো কোনো বাসে ছাদের ওপরেও যাত্রী তোলা হচ্ছে। লঞ্চে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দূরে থাক, সেখানে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। আসলে সরকার সিন্ডিকেটের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘সরকার যা কিছু করছে, তা নিজেদের সিন্ডিকেটের স্বার্থকে রক্ষা করতে। তারা জনস্বার্থে সফল নয়, কিন্তু দুষ্কর্মের সাথি হতে খুবই দক্ষ। আসলে সরকার দুর্যোগ, মহামারি, দুর্ভিক্ষ দমন ও জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ঢাকা থেকে কোনো কোনো বাসে অর্ধেক যাত্রী তোলা হলেও ঢাকার বাইরে গিয়ে বেশি যাত্রী তোলা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাসে ৬০ শতাংশ ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও ৮০ শতাংশ অথবা এরও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এগুলো সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতারই নির্দশন। তারা শুধু বিরোধী দল ও মতকে নিষ্পেষণ ও নির্যাতনের সক্ষমতা অর্জন করেছে।’
রিজভী আরো বলেন, ‘জনগণের জীবনের কথা চিন্তা না করে সরকার শুধু জীবিকার অজুহাতে সবকিছু খুলে দিয়ে অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।’
গত সপ্তাহে এক্সিম ব্যাংকের এমডি-ডিএমডিকে গুলি করার হুমকি ও নির্যাতন করার মামলায় অভিযুক্ত সিকদার গ্রুপের দুই ভাইকে চার্টার্ড বিমানে বিদেশে পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যাংক লুটপাটকারীদের পালাতে সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। এটি সম্পূর্ণরূপে স্টেট টেররিজম। দুজন দুরন্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। অতীতেও এই সরকার ব্যাংক লুটপাটকারীদের নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে নিরাপদ করেছিল। এ ঘটনা তার আরেকটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ।’