সরকারি ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান খোকনের বিরুদ্ধে। তিনটি হতদরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ২৩ হাজার টাকা। গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ভুক্তভোগীরা একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরেশ চন্দ্র দাস, জোছনা রানী ও সোনেকা খাতুনের কাছ থেকে মোটা ২৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক বছর আগে ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান এইচ এম কামরুজ্জামান খোকন এ টাকা নেন। এখন ঘর দেওয়া তো দূরের কথা টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
ভুক্তভোগী জোছনা রানী বলেন, ‘ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন আমি ঋণ করে আট হাজার টাকা দিয়েছি। এক বছর পার হয়ে গেল, কিন্তু আমার ঘর দেওয়ার নাম নেই। টাকা ফেরত চাইতে গেলে গালিগালাজ করেন চেয়ারম্যান। আমার ঘর দরকার নেই, এখন টাকা ফেরত চাই।’
ভুক্তভোগী পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘চেয়ারম্যান সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেন। ঘর না পেয়ে আমি আমার টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন।’
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত সোনেকা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী নেই। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সরকারি ঘর চাইলে তিনি ২০ হাজার টাকা চান। আমি কয়েক দিন পর ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। বছর পার হয়ে গেল কিন্তু আজও আমার ঘর পাইনি। এখন আমি টাকা ফেরত চাই।’
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এইচ এম মো. কামরুজ্জামান খোকন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত। আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেইনি।’
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সৈকত ইসলাম এনটিভি অনলাইনেক বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’