সব আছে বাজারে, কিন্তু দাম বেশি : মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলছেন, “বাজারে কোনো খাদ্যদ্রব্যের অভাব নেই। যা চাইবেন, সব আছে বাজারে। কিন্তু, দাম বেশি। যার ফলে মানুষ কিনতে পারছে না। রিজার্ভ চুরি হলে অর্থমন্ত্রী বললেন, ‘চার হাজার কোটি টাকা, আট হাজার কোটি টাকা কোনো টাকা নয়।’ কিন্তু অন্য পক্ষ, যাঁরা খেটে খাওয়া মানুষ তাঁদের কাছে এক টাকাও অনেক টাকা। কিছুদিন আগে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির আঁচ যেন তাদের গায়ে না লাগে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আজ রোববার ছাত্রদল আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের কোন লাজ-লজ্জা আছে বলে মনে হয় না। এত কথা, এত প্রতিবাদ, তাও এ সরকারের লজ্জা হয় না। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষ খুন করছে, গুম করছে। কিন্তু, এ দেশের জনগণ এটি আর হতে দেবে না।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘বিএনপির করা মিটিং-মিছিল সরকারের ক্ষতির জন্য নয়। আমাদের মিছিল-মিটিং থেকে সরকারের শিক্ষা নেওয়া দরকার। আমরা কী বলছি, কী বলতে চাই, সেখান থেকে কোনো কথা দেশের কাজে আসবে কি না, সেটা সরকারকে বুঝতে হবে। সমালোচনা করলেই সরকার গোসা করে, রাগ হয়। মিছিল করলে সরকার গোসা করে, রাগ হয়ে যায়, আর আমাদের ছেলেপেলেদের পেটায়। পিটিয়ে কি মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে? খাওয়ার জন্য যেমন মুখ দরকার আছে, তেমনি কথা বলার জন্য মুখের দরকার আছে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘বিএনপির হাজার হাজার কর্মী যে ডাকের অপেক্ষায় আছে, সে ডাক দিলে এমন আন্দোলন হবে—তাতে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আপনাদের সবাইকে সে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।
এ ছাড়া ছাত্রদলের প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।