শ্যামনগরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, গাছের ডালে ঝুলছিলেন স্বামী
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় স্ত্রী সোনাবিবিকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী আবদুল মান্নান আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোনাবিবির লাশ পাওয়া গেছে বাড়ির কাছে ঈদগাহ চত্বরে। স্বামী মান্নানের লাশ ঝুলছিল পাশের একটি রেইনট্রি গাছের ডালে। উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেখালী গ্রামের কাগুজিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোনাবিবি কালিঞ্চি গ্রামের মো. সিরাজ গাজীর মেয়ে। আবদুল মান্নান জেলেখালী গ্রামের সোহরাব গাজীর ছেলে।
আজ রোববার সকালে এ তথ্য জানান শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসিন গাজী। তিনি জানান, সোনাবিবি (৪০) আবদুল মান্নানের (৫০) দ্বিতীয় স্ত্রী। শনিবার রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে।
ইয়াসিন গাজী জানান, সোনাবিবির দেহে কুড়ালের কোপের দাগ রয়েছে। তাঁর মরদেহ ছিল ঈদগাহ চত্বরে। অন্যদিকে মান্নান ছিলেন পাশের একটি রেইনট্রির ডালে মোটা রশিতে ঝুলন্ত।
পুলিশ পরিদর্শক আরো জানান, জেলেখালী আবদুল মান্নানের বাড়ি হলেও তাঁরা থাকতেন কালিঞ্চি গ্রামে। তিন-চার দিন আগে মান্নান তাঁর স্ত্রী সোনাবিবিকে নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। জেলেখালীর লোকজন তাঁদের খুব একটা চেনে না। তাঁদের ১০-১১ বছর বয়সের দুটি ছেলে রয়েছে।
ইয়াসিন গাজী আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আবদুল মান্নান স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর রশিতে ঝুলে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কি না, তা বলা মুশকিল। তবে আগের রাতে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সুন্দরবনের নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরতেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন গ্রামবাসী।
লাশ দুটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।