শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের শেকলবন্দি গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের শেকলবন্দি গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে এবং মার্শাল ডেমোক্রেসি থেকে আমরা পূর্ণ গণতন্ত্র পেয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা : বিশ্ব নেতৃত্বে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি। প্রবন্ধের ওপর আলোকপাত করেন নিউজ২৪ টিভি চ্যানেলের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছরের পথ চলায় জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের পাশে থেকেছেন সংকটে, সংগ্রামে, উন্নয়নে, অর্জনে একটিই নাম হয়ে। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে কখনো বিচলিত হননি, কখনো দ্বিধান্বিত হননি বরং আরো প্রত্যয়ী হয়ে, আরো দীপ্ত হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে তিনি এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি অতুলনীয় গুণ হচ্ছে সব সংকটের মধ্যে প্রচণ্ড ঝঞ্জার মধ্যেও তিনি অবিচল থেকে সংকট মোকাবিলা করতে পারেন আর সে কারণেই তিনি অনন্য। তাঁর জাদুকরি নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।
এ সময় নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর সামনে উদাহরণ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার পর্ষদে নারীর জন্য ৩৩ শতাংশ আসন নিশ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশে কেউ কখনো ভাবেনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার বা পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলর বা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান হবে নারী। জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে স্থানীয় সরকার পরিষদ নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। এখন শুধু এসপি নয়, মেজর জেনারেল থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, সচিব থেকে শুরু করে এমন কোনো পদ নেই যেটি নারী অলংকৃত করেনি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন কোনো বিশ্ব সভায় জননেত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত হন, তখন তিনিই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হন, বিশ্বসভা শেখ হাসিনার উপস্থিতির কারণে আলোকিত হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিই নন, শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, কর্মদক্ষতা, দূরদৃষ্টি এবং সাফল্যের কারণে তিনি আজ বিশ্বনেত্রীর আসনে আসীন। তিনি চ্যাম্পিয়ান অব দ্য আর্থ, মাদার অব হিউমেনিটি। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর গুণাবলী দিয়ে এই সম্মান অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনে আমাদের প্রার্থনা, তিনি যেন যুগ যুগ ধরে আমাদের নেতৃত্ব দিতে পারেন।’
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে অতীতের দিকে তাকানোর আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার অপরাধে যেভাবে শেফালীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল, আট বছরের শিশুকে যেভাবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল, সেটি মির্জা ফখরুল সাহেবের নিশ্চয় মনে আছে। তিশা, ফাহিমা, মহিমা, অজুফা, কবিরাণী, মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মাহফুজাসহ শত শত নারী সেদিন গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। আওয়ামী লীগে ভোট দেওয়ার অপরাধে একটি গ্রাম অবরুদ্ধ করে সেখানে শত শত নারীকে নির্যাতন করা হয়েছিল, গণধর্ষণ করা হয়েছিল। বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। বরং তাদের বাহবা দেওয়া হয়েছিল।’