শুধু অতি জরুরি বিষয় শুনবেন হাইকোর্ট
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে সীমিত আকারে চলছিল আদালতের কার্যক্রম। এখন করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রভাবের মধ্যে শুধু অতি জরুরি মামলার শুনানি নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। শুধু মক্কেলের জন্য জরুরি বিষয়ে মামলা ফাইল করতে হবে, এটা এখন নয়। এটা ইনশা আল্লাহ সামনে পাবেন। এ হিসেবে মেনশন করবেন।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রমের শুরুতে আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘অতি জরুরি বিষয় ছাড়া অন্য আবেদন শোনা হবে না। প্রধান বিচারপতির গঠনবিধি আপনারা দেখেছেন। গঠনবিধি অনুসারে মামলাটি শুধু জরুরি হলে হবে না, অতি জরুরি হতে হবে। শুধু মক্কেলের জন্য জরুরি বিষয়ে মামলা ফাইল করতে হবে, এটা এখন না। এটা সামনে পাবেন। তখন সে হিসেবে মেনশন করবেন।’
গতকাল সোমবার চারটি বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। চারটি বেঞ্চের মধ্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ জরুরি রিট মোশন গ্রহণ করবেন।
জরুরি সব ধরনের দেওয়ানি মোশন গ্রহণ করবেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের দ্বৈত বেঞ্চ।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের দ্বৈত বেঞ্চ জরুরি ফৌজদারি মোশন গ্রহণ করবেন।
এ ছাড়া বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্ত আবেদনপত্র শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে জনসাধারণের চলাচলের ওপর এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে সরকার। ৪ এপ্রিল এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই প্রজ্ঞাপনের ধারাবাহিকতায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়ালি চারটি বেঞ্চ (তিনটি দ্বৈত ও একটি একক) এবং সপ্তাহে দুই দিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারিক কার্যক্রম চলবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। পাশাপাশি দেশের অধস্তন আদালতগুলোর মধ্যে জেলা ও মহানগর প্রতি একজন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা জরুরি বিষয়ে বিচারকার্য পরিচালিত হবে বলেও কোর্ট প্রশাসন জানায়।