শিশুপুত্রকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, বাবা আটক
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে দুই বছরের শিশুপুত্রকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজু নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক রাজু জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার রামপুরা এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামের জনৈক মহর আলীর বাড়িতে রাজু তাঁর শিশুপুত্র, স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। রাজু এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন এবং তাঁর স্ত্রী কামরুন্নাহার স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
কিছুদিন ধরে রাজু ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। প্রতিদিনের মতো আজ রোববার সকালে রাজুর স্ত্রী তাঁর কর্মস্থলে যান। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজুর দুই বছরের শিশুপুত্র কাওছার ইসলাম ঘরে একা খেলা করছিল এবং তাঁর শাশুড়ি ঘরের বাইরে কাজ করছিলেন।
এ সময় রাজু ঘরে ঢুকে শিশু কাওসারকে চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন। শিশুটির চিৎকারে তার নানি ঘরে ঢুকে কাওসারকে এই অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজুকে চাকুসহ হাতেনাতে আটক করে।
শিশু কাওসারকে উদ্ধার করে স্থানীয় আল হেরা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আটক রাজুকে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
শ্রীপুরের মাওনা এলাকার আল হেরা হাসপাতালের চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শ্বাসনালীর কিছু অংশ কাটা অবস্থায় শিশু কাওসারকে এই হাসপাতালে আনা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, ঘটনার পর পরই শিশুটির বাবা রাজুকে পুলিশ আটক করে থানায় আনে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।