শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ছে
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরো বাড়ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলেন এ কথা বলেন তিনি। ভার্চুয়াল এ সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়বে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের ছুটি আরো বাড়াতে হবে। সামনে আরো কতদিন ছুটি বাড়ানো হবে, শিগগিরই তা জানিয়ে দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান সংযুক্ত ছিলেন।
করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার গাইডলাইন তৈরির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ঠিক করাই আছে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলব তখন কীভাবে খুলব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরও দিকনির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এসে আক্রান্ত না হয়ে বাইরে হলেও কিন্তু বলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কারণেই হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে তাদের শিক্ষার বিষয়ে নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেই আমরা নজর দিচ্ছি। অভিভাবক, শিক্ষার্থী সবাই এটি নিয়ে ভাবছে।’
বার্ষিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, ‘বার্ষিক পরীক্ষা ও আগামী বছরের এসএসসিসহ অনেক পরীক্ষা নিয়েই সবার প্রশ্ন আছে। এসব পরীক্ষা নিয়ে এখনই আমরা কিছু বলতে পারছি না। পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সবার স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর রেখে সব করছি। একইসঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও নজর রাখছি।’
ডা. দীপু মনি আরো বলেন, ‘করোনার সময়ে ধাপে ধাপে আমরা ছুটি বাড়িয়েছি। ধাপে ধাপে ছুটি বাড়ানো ছাড়া একসঙ্গে অনেক ছুটি বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পড়াশোনা করছেন। শিক্ষকদের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ আছে।’
‘ও’ লেভেলের পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ও’ লেভেলে মোট ছয় হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের ৩৫টির বেশি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের কাজ করা অনেক সহজ হবে। তাদের সব শর্তই দেওয়া হয়েছে।’
কওমি মাদ্রাসার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার অন্যতম বিষয় হচ্ছে- এ মাদ্রাসাগুলোর বেশির ভাগই আবাসিক। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর কথা জানিয়েছে। সেজন্যই তারা আমাদের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার স্বার্থে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে।’
সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এমসি কলেজের সেই ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখছি। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ধরনের পরিস্থিতির যেন উদ্ভব না ঘটে সেজন্য আমাদের করণীয় কী, সেটি নিয়ে কাজ করছি।’