শাক দেওয়ার কথা বলে হাত-পা বেঁধে কিশোরীকে ধর্ষণ!
গাজীপুরের শ্রীপুরে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার পর এবার লাউ শাক দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এ উপজেলায় মাত্র কিছুদিনের ব্যবধানে দুটি ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় আতংক দেখা দিয়েছে।
কিশোরীর পরিবারের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল্লাহ বলেন, শ্রীপুর উপজেলায় আকতার হোসেন নামের এক ব্যক্তি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে লাউ শাক দেওয়ার কথা বলে এক কিশোরীকে (১৫) বাড়িতে ডেকে নেন। এ সময় বাড়িতে লোকজন না থাকায় আকতার ভয় দেখিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
এরপর ঘটনা প্রকাশ না করতে কিশোরীকে ভয় দেখান। এ সময় কিশোরী চিৎকার শুরু করলে লম্পট আকতার পালিয়ে যান। পরে কিশোরীর মা ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে আহতাস্থায় উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আজ বুধবার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আকতারকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। তবে আজ বিকেল পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি একই উপজেলায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে এক কিশোরীকে ডেকে নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করার একপর্যায়ে এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে কৌশলে কিশোরীকে পান করান। এতে ছাত্রীটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাঁকে পার্শ্ববর্তী এক ঝোপে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে চার বখাটে বন্ধু রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে ও ভয়ভীতি দেখান। পরে ধর্ষকরা স্থানীয় একটি সেলুনে বসে ঘটনার তথ্য উল্লেখ করে এবং নিজেদের পরিণতি স্বীকার করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ফুটেজ ধারণের পর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন। পরের দিন এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলার পর চার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।