রোহিঙ্গাদের ফেরাতে জাতিসংঘের দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই : টিআইবি
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরাতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে সংস্থাটির কার্যালয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব বলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে অবস্থান: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সংস্থাটির কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় ওই সংবাদ সম্মেলন। গবেষণায় উঠে আসে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় পাওয়া তহবিল নিয়ে জাতিসংঘসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার অনিয়মের চিত্র।
ড. ইফতেখার বলেন, ‘জাতিসংঘের স্বচ্ছতার ঘাটতি শুধু পরিচালন ব্যয়ের বিপরীতে মানবিক সহায়তা ব্যয়ের বিষয়টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ না, এখানে এক ধরনের কায়েমি স্বার্থ জাতিসংঘের রয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রভাবশালী দেশগুলো আসলেই কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে ড. ইফতেখারুজ্জামানের।
ড. ইফতেখার বলেন, ‘ভারত, চীন, জাপান আমাদের দেখাচ্ছে যে তারা বাংলাদেশের পাশে আছে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে। কিন্তু বাস্তবে যে শক্তিগুলো সবচেয়ে বেশি উপাদান জোগাচ্ছে মিয়ানমারের এই অনড় অবস্থানের পেছনে এবং জাতিগত নিধনের সুরক্ষা দেওয়ার পেছনে; তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই দেশগুলো।’ তিনি আরো জানান, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন কোনো নির্দিষ্ট কার্যকর উদ্যোগ নেই যে, মিয়ানমারকে রাজি করানো যাবে।
এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিকভাবে সরকারের কমপক্ষে দদুই হাজার ৩০৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে উল্লেখ করে ভবিষ্যতের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেবারও আহ্বান জানিয়েছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
রোহিঙ্গা সংকট সামনের দিনে বাংলাদেশেকে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এর ফলে আমাদের আর্থ সামাজিক অস্থিতিশীলতা, আর্থিক বোঝা, আর্থ সামাজিক ঝুঁকি, স্থানীয় জনগণের ওপর ঝুঁকি বাড়বে রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত ঝুঁকি, বাড়বে স্থানীয় ও জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং বাড়বে বিভিন্ন প্রকার সহিংসতাসহ উগ্রবাদ।’