রাজধানীর কদমতলীর এক বাসা থেকে আশিকুল হক পিন্টু নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পিন্টু একটি ইংরেজি পত্রিকায় সার্কুলেশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মাতুয়াইল মেডিকেল গলির একটি ভবন থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আজ শুক্রবার কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘পিন্টুর শরীরে ক্ষতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

প্রলয় কুমার সাহা বলেন, ‘পিন্টুর মরদেহ যে বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, ওই বাসায় এক নারী তাঁর ভাবির সঙ্গে থাকেন। ওই নারী আমার কাছে দাবি করেছেন, পিন্টুর সঙ্গে তাঁর তিন মাসের পরিচয়। মুঠোফোনে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর আগে একদিন যাত্রাবাড়ীতে তাঁদের দেখাও হয়েছে।’

ওই নারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, ‘ওই বাসায় যে নারী থাকেন, তাঁর ভাবি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। গতকাল রাতে তিনি একাই বাসায় ছিলেন। পরে পিন্টু রাত আড়াইটার দিকে ওই বাসায় আসেন। কিছুক্ষণ পর থেকে তিনি অসুস্থবোধ করেন। রাত ৪টার দিকে পিন্টু চরম অসুস্থ হয়ে পড়লে দারোয়ানসহ ওই বাসার অন্যদের ডাকেন নারী। প্রথমে কেউ সাড়া দেয়নি। পরে পাশের ফ্ল্যাটের একজনকে ডেকে তোলেন তিনি। তখন তাঁরা বুঝতে পারেন, পিন্টু মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, ‘ওই নারী আমাদের জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে পিন্টু প্রচণ্ড ঘামছিলেন। পরে সকালে থানায় এসে আমাদের সংবাদ দেন তিনি। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।’