যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে হামলা, ইউএনও-পুলিশসহ আহত ৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ রোববার বিকেলে উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের বিলঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদউল আলম, কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনুর রশিদ, পুলিশের নায়েব আলী আজম, কনস্টেবল মাহবুবুল ও জয়রূপ।
এর আগে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আলমগীরকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আলমগীরকে এক বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কসবার বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ চলছিল।
ইউএনও মাসুদউল আলম বলেন, ‘ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কসবার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালানো হয়। এ সময় কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীরসহ দুইজনকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত আলমগীরকে সাজা দেওয়ার পর তাকে নিয়ে থানায় যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় বিলঘর এলাকায় আলমগীরকে ছিনিয়ে নিতে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।’
কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মানিক মিয়া জানান, তিনি এ ঘটনা শুনেছেন। তবে বিস্তারিত কিছু জানেন না। অনেককে জিজ্ঞাসা করেও তিনি কিছু জানতে পারেননি।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’