যানবাহন ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার বাড়ানোর নির্দেশ
আনফিট গাড়ি সড়কে চলছে কি না তা পর্যবেক্ষণের জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে যানবাহন ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রুলের শুনানিকালে আজ বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।
পরে আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের সড়কে প্রায় ৪০ লাখ গাড়ি চলাচল করে। সড়কগুলোতে কী ধরনের গাড়ি চলছে, তা পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে ফিটনেস টেস্টিং সেন্টারের সংখ্যা অপ্রতুল। এ বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেছি।
এর আগে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ফিটনেস জরিপে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ২০১৮ সালের ৯ জুলাই বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ফিটনেস জরিপে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে বলা হয় নোটিশে। নোটিশের জবাব না পেয়ে ২৬ জুলাই রিট আবেদন করা হয়।
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই রুলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ফিটেনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে গণপরিবহনের ফিটনেস নিশ্চয়তা ও নজরদারিতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্রসচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতুসচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক, বিআরটিএর এনফোর্সমেন্ট বিভাগের পরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।