মেঘনায় কীর্তণখোলা-ফারহান লঞ্চের সংঘর্ষ, দুজন নিহত
ঢাকা-বরিশাল নৌপথের মাঝেরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন শিশু ও অপরজন বৃদ্ধ বলে জানা গেলেও তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। হতাহতরা সবাই বরিশাল-ঢাকা পথের কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চের যাত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাহের ও কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চের মাস্টার নুরুল ইসলাম। তাঁরা জানান, এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দর থেকে রাত ৯টার দিকে ৭০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে এবং ভান্ডারিয়ার হুলারহাট থেকে ফারহান-৯ লঞ্চটিও ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। লঞ্চ দুটি মাঝেরচর এলাকায় পৌঁছলে ঘন কুয়াশার কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চের ব্যবস্থাপক ঝন্টু জানান, ফারহান লঞ্চটির কোনো রাডার না থাকায় কুয়াশার মধ্যে কীর্তণখোলা লঞ্চটির মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দিলে লঞ্চের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়াও আমরা শুনতে পেরেছি দুজন নিহত হয়েছে এবং আহতও রয়েছে অনেক, তবে নিশ্চিত হতে পারছি না। লঞ্চের কেউ ফোনও ধরছে না।
জানা গেছে, আহতদের চাঁদপুরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চের তলদেশ অক্ষত থাকায় সেটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকারকে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।