জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বছরব্যাপী আয়োজনের পর্দা উঠল আতশবাজির বর্ণিল আলোকচ্ছটায়। আজ মঙ্গলবার রাত ৮টায় ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণের সঙ্গে মিল রেখে রাত ৮টায় ‘মুক্তির মহানায়ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একযোগে শুরু হয় আতশবাজি প্রদর্শনী। এরই মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মুজিববর্ষ।

এরপর জাতীয় সঙ্গীত শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর পরই শত শিশু কণ্ঠে আসে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রচিত ‘ধন্য মুজিব ধন্য’ গানটি। এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসেন জাতির উদ্দেশে ভাষণ নিয়ে।

এরপর মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের আলোকসজ্জা উদ্বোধন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত সংসদ ভবন আলোয় আলোকিত থাকবে।

এরপর দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ মেলান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নমগেয়েল ওয়াংচুক, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি, জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টিনিও গুতেরাস এবং ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিনের ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয় অনুষ্ঠানে।

মুজিববর্ষের এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনেক রাষ্ট্রনেতার থাকার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সেই আয়োজন সীমিত করার কথা ভাষণে উল্লেখ করে আসতে না পারা সেই রাষ্ট্রনেতার ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

এরপর বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি তেজগাঁওয়ে পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্ণিল আতশবাজি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় রাত ৮টায়। বঙ্গবন্ধুর জন্মের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আতশবাজির বর্ণিল আলোকচ্ছটা রাঙিয়ে তোলা হয় পুরো আকাশ।

বর্ণিল এই আতশবাজির আয়োজনে রবীন্দ্র সরোবরের উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আযম, আহমেদ হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ। বর্ণিল এই আতশবাজি দেখতে রবীন্দ্র সরোবরের চারপাশ লোকে লোকারণ্য ছিল। তাঁরা ১০ মিনিটের এই আয়োজন উপভোগ করেন।

এছারাও হাতিরঝিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় সহ সারা দেশে আয়োজন করা হয় আতশবাজির প্রদর্শনী।