মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া প্রমাণিত, উপজেলা চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
কিশোরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় সনদ বাতিল করায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদকে অবিলম্বে অপসারণসহ বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্বসহ দলীয় সব পদ থেকেও অপসারণের দাবি জানান হয়।
আজ বুধবার দুপুরে ‘সকল মুক্তিযোদ্ধা ও করিমগঞ্জ উপজেলাবাসী’-এর ব্যানারে করিমগঞ্জ সদরে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ দীর্ঘদিন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন, কাস্টমসে চাকরি প্রাপ্তি এবং চাকরি পরবর্তী সময়ে দলীয় পদবী অর্জন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে তিনি সরকার ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এ ছাড়া এসব পদ-পদবী ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি বিপুল সম্পদ অর্জন করে দেশের প্রচলিত আইনে অপরাধ করেছেন।
বক্তারা অবিলম্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কসহ দলীয় সব পদ থেকে নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদকে অপসারণ করে তাঁর বিচার দাবি করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলীর সভাপতিত্বে কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার ও বিএমএ জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহবুব ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এমরান আলী সরকার, গোলাম ফারুক তালুকদারসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা ইউনিট ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭০তম সভার সুপারিশের আলোকে গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত গেজেটে নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদসহ ৫২ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করে সরকার।