মিজু আহমেদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অভিনেতা-প্রযোজক মিজু আহমেদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। একটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পথে ট্রেনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মিজু আহমেদ মূলত খল অভিনেতা হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রে বেশি পরিচিত। তবে একজন প্রযোজক হিসেবেও ঢালিউডপাড়ায় পরিচিতি আছে তাঁর।
১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কয়েক বছর পরে তিনি ঢালিউড চলচ্চিত্রশিল্পে অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এ ছাড়া তিনি তাঁর নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস মুভিজ’-এর ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
মিজু আহমেদ ১৭ নভেম্বর ১৯৫৩ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম মিজানুর রহমান। শৈশব থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন।
বড়পর্দায় এ পর্যন্ত প্রায় ৮০০টি ছবি মুক্তি পেয়েছে তাঁর। তাঁর অভিনীত ছবিগুলো মধ্যে হচ্ছে ‘তৃষ্ণা’ (১৯৭৮), ‘মহানগর’ (১৯৮১), ‘স্যারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘চাকর’ (১৯৯২), ‘সোলেমান ডাঙ্গা’ (১৯৯২), ‘ত্যাগ’ (১৯৯৩), ‘বশিরা’ (১৯৯৬), ‘আজকের সন্ত্রাসী’ (১৯৯৬), ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ (১৯৯৭), ‘কুলি’ (১৯৯৭), ‘লাঠি’ (১৯৯৯), ‘লাল বাদশা’ (১৯৯৯), ‘গুন্ডা নাম্বার ওয়ান’ (২০০০), ‘ঝড়’ (২০০০), ‘কষ্ট’ (২০০০), ‘ওদের ধর’ (২০০২), ‘ইতিহাস’ (২০০২), ‘ভাইয়া’ (২০০২), ‘হিংসা প্রতিহিংসা’ (২০০৩), ‘বিগ বস’ (২০০৩), ‘আজকের সমাজ’ (২০০৪), ‘মহিলা হোস্টেল’ (২০০৪), ‘ভণ্ড ওঝা’ (২০০৬) ইত্যাদি।
‘তৃষ্ণা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১৯৯২ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মিজু আহমেদ।