মানবপাচারে দুটি এয়ারলাইনস জড়িত, সিআইডির দাবি
বাংলাদেশ থেকে মানবপাচারে দুটি এয়ারলাইনসের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা দাবি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দুটি এয়ারলাইনসের কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মালিবাগের কার্যালয়ে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
দুটি এয়ারলাইনসের নাম প্রকাশ না করে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে মানবপাচারের সঙ্গে বিদেশি দুটি এয়ারলাইনস জড়িত। যাদের দেশ থেকে পাচার করা হয়েছে, তাদের সবাইকেই ভিজিট ভিসা বা কনফারেন্স ভিসায় নেওয়া হয়েছে। এসব ভিসায় কেউ কোনো দেশে গেলে তাদের রিটার্ন টিকেট থাকার কথা। কিন্তু কোনো ব্যক্তি রিটার্ন টিকেট নেননি।’
সিআইডিপ্রধান বলেন, ‘এটা কিন্তু এয়ারলাইনসের ত্রুটি। তাদের কর্মকর্তারা জড়িত। পাচার হওয়া অধিকাংশ ব্যক্তি এই দুটি এয়ারলাইনসে করে গেছেন। আমরা এয়ারলাইনস দুটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাঁরাও স্বীকার করেছেন, এমন হওয়ার কথা না।’
মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানবপাচারে জড়িত পলাতক ছয় বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। গত ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশ পুলিশ ইন্টারপোলের কাছে ছয় মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তারে সহায়তা চায়। গত ২৭ নভেম্বর ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে। সিআইডি এখন পর্যন্ত ছয়জনের সন্ধান পেয়েছে, যাদের মানবপাচারে সংশ্লিষ্টতা আছে। তবে এই ব্যাপারে আরো কেউ জড়িত কি না, তা দেখতে আমরা বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখছি।’
চলতি বছরের মে মাসে লিবিয়ার মিজদাহতে গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে পল্টন ও বনানী থানায় তিনটি মামলা করে। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরো ২৩টি মামলা হয়। সিআইডি মোট ২৫টি মামলার তদন্ত করছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছেন ২৯৯ জন। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৭১ জন। ৪২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।