মাটি কেনা নিয়ে বিরোধ, ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা
মাটি কেনা নিয়ে বিরোধের জেরে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দুপক্ষের কোন্দলে জনি (২৮) নামের এক কর্মী খুন হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মাস্টারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জি এম সবুজ হাসানসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাঁদের আটকের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
নিহত জনি পাশের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের তাড়ুয়াপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, নরেন্দ্রপুরের মাস্টারপাড়ায় দুদল যুবকের কোন্দলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন খুন হয়েছেন। মাটি কেনা নিয়ে দুপক্ষের কোন্দলে এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে জানালেও তাঁদের পরিচয় জানাননি তিনি।
নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সুজিত বিশ্বাস জানান, ছাত্রলীগ নেতা জি এম সবুজ হাসান ও শাহিন আলম মাটি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। তাঁরা বিভিন্ন গ্রাম থেকে মাটি কিনে ইটভাটায় বিক্রি করেন। সম্প্রতি নরেন্দ্রপুরের একটি জমির মাটি কিনতে চান দুজন। এ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হলে বিষয়টি নিয়ে গতকাল সন্ধ্যার পর নরেন্দ্রপুর মাস্টারপাড়ায় দুপক্ষ সমঝোতার জন্য বৈঠকে বসে। সেখানে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকে করে ২০ থেকে ২২ জন নিয়ে যান শাহিন। বৈঠকে সবুজের পক্ষে ছিলেন জনি।
বৈঠকের একপর্যায়ে শাহিনের পক্ষের কয়েকজন জনিকে ডেকে পাশে নিয়ে গিয়ে বুকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই জনির মৃত্যু হয়। এ সময় গ্রামবাসী ধাওয়া করলে শাহিন ও তাঁর পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। তবে শাহিনের একটি পায়ে সমস্যা থাকায় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মোটরসাইকেল নিতে না পেরে তা ফেলে রেখেই পালিয়ে যান।
পরে খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। দিবাগত রাত ৩টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে শাহিনের মোটরসাইকেল আটক করা হয়।