ভৈরবে বেগম রোকেয়া দিবসে পাঁচ জয়িতাকে সংবর্ধনা
‘শেখ হাসিনার বারতা, নারী-পুরুষ সমতা’-এ বিষয়কে প্রতিপাদ্য করে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পাঁচ জয়িতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা এবং শত প্রতিকূলতায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে জয়ী হওয়ায় ওই পাঁচ নারীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভৈরব উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আজ সোমবার দুপুরে তাঁদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, ফুল ও সনদপত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়া।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ আল মামুন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম, ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন, আইসিটি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ আরশাদ, একাডেমিক সুপারভাইজার স্বপ্না বেগম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জলি বদন তৈয়বা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে বেগম রোকেয়ার সংগ্রামী জীবনগাঁথা তুলে ধরেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সামসুন্নাহার তাসমিন। এ সময় তিনি জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রমের আওতায় ওই পাঁচ নারীকে সংবর্ধিত করার প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেন। এরপর একে একে পাঁচ নারী তাঁদের জীবন সংগ্রাম ও সফলতার কাহিনী তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন পক্ষ উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীরা অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়া বলেন, ‘ভৈরবে নারীদের উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া কিছুতেই সম্ভব না। তাই সব বাধা ডিঙিয়ে নারীকে এগিয়ে যেতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা বলেন, ‘নারীরা তাদের মেধা ও মনন দিয়ে কাজ করে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
বেগম রোকেয়া নারীর সব অধিকার নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন উল্লেখ করে নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন নারীর ক্ষমতায়ন। তাই দেশ গঠনে তিনি নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করেছেন।’
শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করায় উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের হাসিনা বেগম, অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য পৌর শহরের কমলপুর নিউটাউন এলাকার মাহবুবা ইসলাম, সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় জগন্নাথপুর এলাকার সাবেক পৌর কাউন্সিলর রোজী ইসলাম, সফল জননী হিসেবে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের কান্দিপাড়ার উম্মেহানী বেবী ও বিভীষিকাময় নির্যাতনকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করায় পৌর এলাকার চণ্ডীবেড় দক্ষিণপাড়ার মেহেরুন্নেছাকে এ বছরের জয়িতা হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।