আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের সমুদ্র জয়ের মামলায় ভারত আপিল না করে বন্ধুসুলভ যে আচরণ করেছে, তা সম্পর্কের সূত্রকে করেছে আরো সুদৃঢ়। দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে, তার মাধ্যমে তিস্তা সমস্যা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্য দিয়েই আমাদের দেশকে গড়ে তুলতে হবে। দেশের উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা জরুরি। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোনো দেশই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রেখে এগোতে পারে না। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া থাকলে অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সহজেই সমাধান সম্ভব, যার প্রমাণ বাংলাদেশ ও ভারত।’

দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় সমাধান দুদেশের পারস্পরিক আস্থাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের যে সেতুবন্ধন তৈরি  হয়েছে, তার মাধ্যমে তিস্তা সমস্যা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র হচ্ছে সামাজিক সখ্য এবং ঐক্য। এটা ধরে রেখেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশে যারা হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সূচনা ও লালন করেছিল এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে বড় করে তুলেছিল, তারাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী সদস্যদের জীবন ও সম্পদের ওপর বারবার আঘাত এনেছে।’