ভদ্রতা, সভ্যতা, শিষ্টাচার আ. লীগের অভিধানে নেই : আলাল
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘ভদ্রতা, সভ্যতা, শিষ্টাচার, রাজনীতিতে অন্যকে সম্মান দেওয়া- এটা আওয়ামী লীগের অভিধানের মধ্যে নাই। শেখ মুজিব জীবিত থাকা অবস্থায় তাও কিছুটা ছিল। এখন তা আর নেই। সামান্যতম ভদ্রতা, শিষ্টাচারের লেশমাত্র আর এই দলের মধ্যে নাই।’
আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় এসব কথা বলেন আলাল। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন।
সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘বুদ্ধিবৃত্তিক ভবিষৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্যই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। আজকে আমাদের সেই বুদ্ধিবৃত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক ও শিক্ষাভিত্তিক রাজনীতি আজ খুব বেশি প্রয়োজন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গ এনে এ সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এখানে অনেক আইনজীবী আছেন, তাঁরা জানেন, ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে ৪৯৭ ধারায় স্পস্ট করে বলা আছে, কোনো মামলায় যেকোনো আসামি যদি নারী হন, তিনি যদি বয়স্ক হন, তিনি যদি অসুস্থ হন, শিশু হন, জামিনের ক্ষেত্রে তাঁকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মেডিকেল রিপোর্ট বলে খালেদা জিয়া পঙ্গুত্বের পথে আর সরকার বিএনপিকে পঙ্গু করে দেওয়ার উন্মত্ত প্রতিহিংসায় নেমে পড়েছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবিত থাকাকালে শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে একটি কটূক্তিও করেন নাই বলে উল্লেখ করেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ে গণতন্ত্রের বিজয়ের পর খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকলের পতাকাবাহী গাড়িতে করে খালেদা জিয়া টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি জিয়ারত করেছেন। জিয়াউর রহমান তাঁকে স্যালুট করেছেন, খালেদা জিয়া তাঁকে স্যালুট করেন, আমরা তাঁকে জাতীয় নেতা হিসেবে সম্মান করি।’
‘প্রতিদানে আমরা কী পেয়েছি? এখন জিয়াউর রহমানের সমাধি সৌধে যাওয়ার ব্রিজ খুলে নেওয়া হচ্ছে, তাঁকে রাজাকার বলা হচ্ছে, তাঁর সমাধি উঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাঁকে পাকিস্থানি চর বলা হচ্ছে। তাঁর পদক তুলে নিয়ে মরণোত্তর বিচারে কথা অহরহ বলছেন আ. লীগের নেতারা। প্রতিপক্ষ হিসেবে বিএনপিকে পঙ্গু করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে সরকার’, যোগ করেন আলাল।
সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু প্রমুখ।