বড়শিতে ধরা পড়ল ছয় মণ ওজনের মাছ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে জেলের পাতা বড়শিতে ধরা পড়েছে ছয় মণ ওজনের বিরল প্রজাতির শাপলাপাতা (স্টিংরে) মাছ। মাছটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভৈরবের নৈশকালীন মৎস্য আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে এলে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। একক কোনো ক্রেতা না পাওয়ায় মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি করে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন জেলে গনি মিয়া।
ভৈরব শহরের জগন্নাথপুর দক্ষিণপাড়ার জেলে গনি মিয়া জানান, পেশায় তিনি একজন মৎস্যজীবী। ভৈরবের মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ শিকার করেই তাঁর সংসার চলে। তিনি মূলত নদীতে লার পেতে (সুতায় টানানো বড়শি) মাছ শিকার করে থাকেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মেঘনা নদীর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুসংলগ্ন এলাকায় পানিতে বড়শি পাতেন।
বিকেলে সহযোগীদের নিয়ে লার টানার সময় গনি মিয়া বুঝতে পারেন, বড়শিতে বড় কিছু একটা ধরা পড়েছে। এরপর লারটি পানিতে ভাসমান হলে মাছটি দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠে যায় গনি মিয়া ও তাঁর সহযোগীদের। তাঁরা দেখেন, লারে ধরা পড়া মাছটি অন্য কোনো সাধারণ মাছ নয়, সেটি বিরল প্রজাতির শাপলাপাতা (স্টিংরে) মাছ।
পরে সন্ধ্যায় মাছটি ভৈরব নৈশকালীন মাছের আড়ত পূষণ এন্টারপ্রাইজে নিয়ে যান। সেখানে মাছটির ওজন করে জানা যায়, সেটির ওজন প্রায় ছয় মণ। এ প্রসঙ্গে মাছ ব্যবসায়ী পূষণ বলেন, ‘বিরল প্রজাতির এই বিশাল মাছটি বিক্রির জন্য একক কোনো ক্রেতা না পাওয়ায়, এটি কেটে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করি, মাছটি এক লাখ টাকার ওপরে বিক্রি করা যাবে।’
জানতে চাইলে ভৈরব সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান জানান, শাপলাপাতা বা স্টিংরে মাছ মূলত সামুদ্রিক মাছ। তবে উপকূলীয় এলাকায় এরা বসবাস করে। ভৈরবের মেঘনার সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলের সংযোগ থাকায় এই নদীতে এ জাতীয় মাছ পাওয়া যায়।