ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের ১৩ নেতার পদত্যাগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৯ নম্বর নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি থেকে একযোগে পদত্যাগ করেছেন ১৩ জন নেতা। এদের মধ্যে দুইজন সহ-সভাপতি ও চারজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। কমিটি গঠনের ১৫ দিনের মাথায় তাঁরা কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন।
আজ শনিবার পদত্যাগী নেতারা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের কাছে ১৩ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি দানিছুর রাহমান বাবুকে সভাপতি এবং মেহেদী আলম আরিফকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট ৯ নম্বর নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খাইরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম রায়হান।
এ ব্যাপারে পদত্যাগী সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি অশিক্ষিত ছেলেকে কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করায় আমি সহ-সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। একটি অশিক্ষিত ছেলের নেতৃত্বে আমি রাজনীতি করব না।’
পদত্যাগী সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম রোমান বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগ, নাটাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতার সঙ্গে পরামর্শ না করেই এই কমিটি গঠন করায় আমি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি।’
কমিটি থেকে যাঁরা পদত্যাগ করেছেন তাঁরা হলেন নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম রোমান, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরমান আরমান আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন রাফি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সার আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সোহান, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক ইসতিকার আহমেদ রিফাত, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সোহান মনি, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মো. আওয়াল হোসেন, সদস্য মইনুল আহমেদ ইমন, সদস্য সৈয়দ বিন পায়েল।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খাইরুল আলম বলেন, ‘আগের আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি সংগঠনকে গতিশীল করতে সবার সঙ্গে পরামর্শ করি। এরপরই গত ৩ জানুয়ারি নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি ১৩ জনের পদত্যাগের কথা লোকমুখে শুনেছি। কোনো কপি পাইনি। কেউ আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমাও দেননি।’
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এই প্রতিবেদককে ১৩ জনের পদত্যাগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে কোনো ধরনের পরামর্শ না করেই তাঁর মনগড়া মতো সংগঠন পরিচালনা করেন। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শোকজ করা হবে।’