বেনাপোলে থামছে না স্বর্ণ পাচার
স্বর্ণ পাচারকারীদের শক্তিশালী চক্র, প্রশাসনের সহযোগিতা, নিরাপদ রুটসহ নানা কারণে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বন্ধ হচ্ছে না স্বর্ণ চোরাচালান। এ ঘটনায় অনেক সময় কেউ কেউ আটক হলেও পর্দার আড়ালে থেকে যাচ্ছেন প্রকৃত চোরাকারবারিরা। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
জানা গেছে, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট এলাকায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে গোগা, কায়বা, পুটখালী, দৌলতপুর, সাদিপুর, গাতিপাড়া ও রঘুনাথপুর ও শিকারপুর, শালকোনা, কাশিপুর, ঘিবা, রঘুনাথপুর, বাহাদুরপুর, সাতমাইল, বাগাআঁচড়া, বাগুড়ি উল্লেখযোগ্য।
অভিযোগ আছে, প্রশাসনের অনিয়ম-দুর্নীতির সুযোগে শক্তিশালী চক্র অনুপ্রবেশকারী, পরিবহন কর্মচারী, চেকপোস্টের বৈধ ও অবৈধ মানি চেঞ্জার ব্যবসায়ী, সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মাধ্যমে সীমান্তপথে স্বর্ণ পাচার করছে। এসব ঘটনায় কেউ কেউ আটক হলেও পর্দার আড়ালে থেকে যায় প্রকৃত চোরাকারবারিরা।
গত দুই বছরে এ সীমান্তপথে ভারতে পাচার হওয়ার সময় ১২৫ কেজি স্বর্ণ আটক করেছে বিজিবি, পুলিশ ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযান চালিয়ে ৩৯ জন সোনা পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। তবে যারা আটক হয়েছে, তারা প্রকৃত মালিক নয়। তারা টাকার বিনিময়ে এসব স্বর্ণ বহন করে থাকে। আসল ব্যবসায়ীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ ছাড়া ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায় স্বর্ণ চোরাকারবারিরা এ সীমান্ত নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।
৪৯ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা জানান, গত দুই বছরে যশোরের বেনাপোল সীমান্তপথে ভারতে পাচারের সময় ১২৫ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এ সময় আটক করা হয়েছে ৩৯ চোরাকারবারিকে।
যশোরের নাভারণ সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানায় গত দুই বছরে স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত ঘটনায় ৫১ জনকে আসামি করে ৪১টি মামলা হয়েছে। স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।