বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি : ‘ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে হত্যাকাণ্ড’
ঢাকার সদরঘাটে এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেক লঞ্চ ডুবে ৩২ জনের প্রাণহানির ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী আজ সোমবার ঢাকার সদরঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চ দুর্ঘটনার স্থান এবং উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে, এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ ক্ষেত্রে লঞ্চমালিকদের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিআইডব্লিউটিএর নৌদুর্যোগ তহবিল থেকে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে দাফনের জন্য বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে টাকা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক এবং নৌপুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আজ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার শ্যামবাজার এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। এতে এখন পর্যন্ত তিন শিশুসহ ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।
দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের উপসহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ এবং মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কার ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ওই লঞ্চটিতে কমপক্ষে ৫০ যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।’