বিরোধীদের হয়রানির হাতিয়ার দুদক : টিআইবি
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিরোধীদলের রাজনীতিকদের হয়রানি এবং ক্ষমতাসীন দল ও জোটের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে আজ মঙ্গলবার দুদকের ওপর পরিচালিত গবেষণার ফলপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এ সময় ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুই দিক থেকে এক ধরনের সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে। সরকারের দিক থেকেও এক ধরনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রচ্ছন্ন চাপের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়গুলো আলোচিত, তাদের পরিচয় ও অবস্থান যদি সরকারবিরোধী হয়, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে দুদক বেশি সক্রিয়। তাদের পরিচয় ও অবস্থান যদি সরকারের পক্ষে হয়, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে দুদক ততোটা সমান সক্রিয় নয়। বাস্তবে স্বাধীনভাবে দুদক কাজ করছে এটা আমরা বলতে পারব না।’
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দল ও জোটের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে দুদক, যার প্রমাণ পাওয়া গেছে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় দুদকের কার্যক্রমে।
সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পূর্ব অনুমতির বিষয়টি অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরো জানান, এই ধারাটি আদালতের মাধ্যমে বাতিল হবে বলে আশা করে টিআইবি।