বিপুল অবৈধ সম্পদ : কুষ্টিয়ায় সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে দুদক
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কাগজপত্র দাখিলের দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। যদিও এদিন সব কাগজপত্র দেখাতে পারেননি রবিউল ইসলাম; চেয়েছেন সময়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা মঞ্জুর করেছে দুদক।
হাজি রবিউল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী এবং কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া পৌরসভার হরিশংকরপুর এলাকায়।
দুদকসূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। বাইশটি অভিযোগের বিষয়ে তথ্য দিয়ে বলা হয়, তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরবর্তী তিন বছরে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন।
এ বিষয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর পরিপেক্ষিতে গত ১২ এপ্রিল দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল হাজি রবিউল ইসলামকে চিঠি দেন। ওই চিঠিতে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার ওই কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
দুদক কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাকারিয়া জানান, শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া দুদক কার্যালয়ে এসে কিছু কাগজপত্র জমা দিয়ে বাকী কাগজপত্রের জন্য সময় চেয়েছেন। তাঁকে সাত দিনের মধ্যে সব কাগজ পত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
নোটিশে রবিউল ইসলামসহ তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের বিবরণী চাওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন দুদক কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া।
দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, নোটিশে হাজি রবিউল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্টের ফটোকপি; তাঁদের এবং তাঁদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে থাকা স্থাবর সম্পদের (জমি, প্লট, বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান, মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, খামার, ফার্ম ও অন্যান্য) দলিল, অনুমোদিত নকশা, লিজ, বরাদ্দ অথবা ক্রয়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র; অস্থাবর সম্পদ (সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, বন্ড, শেয়ার বিনিয়োগ, গাড়ি ও অন্যান্য) ক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র এবং ব্যাংক হিসাব ও ডিপোজিট স্কিমের (যদি থাকে) বিবরণী; তাঁদের নামে (ব্যক্তিগত/ব্যবসায়িক) শুরু থেকে সর্বশেষ দাখিল করা আয়কর রিটার্নের সার্টিফাইড কপি; ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য থেকে নেওয়া ঋণ বা দায়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।