বিদেশ থেকে আসা স্বর্ণ বাংলাদেশ হয়ে যাচ্ছিল পাশের দেশে
দুবাই থেকে বিমানে আসা অবৈধ স্বর্ণের বার বাসে করে নেওয়া হচ্ছিল সাতক্ষীরা সীমান্তে। এমন তথ্যে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে ৫৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগের এই অভিযানে বাসচালকসহ তিনজনকে আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আব্দুর রউফ।
আটককৃতরা হলেন- গাড়িচালক শাহাদাৎ হোসেন, চালকের সহকারী (হেলপার) ইব্রাহিম ও গাড়ির সুপারভাইজার তাইকুল ইসলাম।
আব্দুর রউফ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মালিবাগ থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে ৫৮টি স্বর্ণবার জব্দ করা হয়েছে। যার ওজন ছয় দশমিক ৭২৮ কেজি। এই সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। আটক করা হয়েছে তিনজনকে।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, গাড়িটিতে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশির পর স্বর্ণের বারগুলো চালকের আসনের নিচে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। এসব স্বর্ণ বিদেশ থেকে এনে বাংলাদেকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে পাশের দেশে পাচার করা হচ্ছিল।
কাস্টমস গোয়েন্দাদের হাতে উদ্ধার এই স্বর্ণের আসল মালিক কে জানতে চাইলে মো. আব্দুর রউফ বলেন, বিষয়টি জানতে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আরও জানতে কাস্টমস আইনে মামলা দায়েরের পাশাপাশি ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার প্রক্রিয়া শেষ হলে আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে তখন তারা তদন্ত করে বের করবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. আব্দুর রউফ বলেন, এই স্বর্ণের বারগুলো দীর্ঘদিন ধরে মজুদ করা হচ্ছিল। আমাদের কাছে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের মধ্যে আট কোম্পানির বার রয়েছে। আমাদের দেশে আসা অধিকাংশ স্বর্ণ পাশের দেশে পাচার হয়ে যায়। তাই কাস্টমস গোয়েন্দাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও পাচারকারীদের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং অনুমতির প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।