বিচারপতিদের সুরক্ষায় খাস কামরায় বসবেন আদালত
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।
আইনজীবীরা সুরক্ষা (মুখে মাস্ক পরে) নিয়ে এলেও বিচারপতিদের নিরাপত্তা দেবে কে বলে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
এক মামলার শুনানিতে করোনাভাইরাস ইস্যু টেনে আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এ সময় আদালতে একটি মামলার শুনানির জন্য ডায়াসে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন। মামলার শুনানির সময় মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাবস পরে আদালতে হাজির হন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি।
তাকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ‘করোনা থেকে আপনারা তো সুরক্ষা নিচ্ছেন, আমাদের সুরক্ষা কোথায়?’ তখন আদালত এজলাসের উন্মুক্ত পরিবেশে শুনানি না নিয়ে খাসকামরায় থেকে আদেশ দেওয়ার বিষয়ে মতামত দেন।
আগামীকালকে পরীক্ষামূলকভাবে খাস কামরায় বসে মামলার আদেশ দেব। মামলার আবেদনের নথি ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের মোবাইল ফোন নম্বর রাখা হবে। মামলার সম্পৃক্ত এবং আইনি কোনো বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তারা জেনে নেবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো পক্ষই যেন ভুক্তভোগী না হয় সে বিষয়টিও তাঁরা দেখবেন বলে জানান আদালত। আদালত কক্ষে জনসমাগম এড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল এলে এ বিষয়ে ওনারও মতামত নেব। পরে আমরা সিদ্ধান্ত জানাব।
এর আগে হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চ গতকাল খাস কামরায় চিকিৎসক-নার্সদের করোনা প্রতিরোধক সরঞ্জাম দিতে সরকারকে নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া আজ একই আদালতে দেশের সব আদালত বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তখন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানির জন্য উপস্থিত থাকবেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে গত ১৯ মার্চ শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৩ মার্চ দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন ধার্য করা হয়।
গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসের ব্যাপারে সতর্কতার অংশ হিসেবে উচ্চ ও নিম্ন আদালতে পরবর্তী অবকাশকালীন ছুটি স্থানান্তর করে এখনই ছুটি কার্যকর চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।
ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। আবেদনে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আগতদের সংশ্লিষ্ট বন্দর থেকেই বাধ্যতামূলকভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশনা চেয়েও আর্জি জানানো হয়।
রিটে আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।