বিএনপি সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীদের ঢাকায় জড়ো করছে: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, বিএনপি সারা দেশ থেকে তাদের নেতাকর্মীদের ঢাকায় জড়ো করছে। এদের মধ্যে চিহ্নিত অস্ত্রধারী ও অপরাধীরাও আছে।’ নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিষয়টি খতিয়ে দেখে এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের চলমান উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে এবং ভোটারদের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেন্দ্র পাহারার নামে তারা নির্বাচনী পরিবেশ ভণ্ডুল করার চেষ্টা করবে। এ ধরনের তথ্যও আমাদের কাছে। তাদের অতীত ইতিহাস এটাই বলে। নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত হবে। এ ব্যাপারে সরকার নির্বাচন কমিশনকে শতভাগ সহায়তা করছে। এই নির্বাচন অতীতের নির্বাচনের চেয়ে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সবার মাঝে একটা উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ৬৭ বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং দেশের এক হাজার পর্যবেক্ষক থাকবেন। কাজেই নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে বলেই আমরা আশা করছি।’
‘আপনার অভিযোগ মতে, বিএনপি শহরে নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে, তাহলে এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা কিনা?’ এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মোটেই একটি ভঙ্গুর রাজনৈতিক দল নয়। দেশে তাদের যথেষ্ট সমর্থন ও প্রভাব রয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটি বিরোধী প্ল্যাটফর্ম হলো বিএনপি। তাদের ওপরও অনেকের আস্থা রয়েছে। কাজেই অতীতে তাদের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে আমি বলেছি, তারা যেকোনো ঘটনা ঘটাতে পারে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের অনুরোধ তারা যেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেয়।’
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের থাকতে দেওয়া হয়নি বলে দলটি অভিযোগ করে আসছে। এমন কথার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এজেন্ট রাখতে না পারা তাদের ব্যর্থতা। তারা এজেন্ট রাখে নাই। তাদের এজেন্টরা কেন্দ্রে আসেনি। সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারো এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয়নি।’