বর্তমান সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয় : নজরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। দেশবাসী অশান্তি ও কষ্টে থাকলে তাদের কিছু আসে যায় না। দুর্নীতি, অবিচার ও অনাচারে নিমজ্জিত দেশ। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা ঘোষণা দিবসের ৫১ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিএনপির নেতা এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (জাফর)।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। সরকার ভালো মতোই জানে খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে দেশ ও জনগণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। দেশের মানুষ আজ নিরাপদ নয়। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তখনই শান্তি পাব যেদিন এ দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে, জানমালের নিরাপত্তা পাবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘শহীদ জিয়া দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেক্টর কমান্ডার থাকা অবস্থায় স্বাধীনতার আগেই সেখানে বাংলাদেশের প্রশাসন গড়ে তুলেছিলেন। সেই জিয়াউর রহমানকে অসম্মান করার অপচেষ্টা চলছে। এই অপচেষ্টা শুধু জিয়ার বিরুদ্ধে নয়, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কাউকে খেতাব দেওয়া বা নেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। আর যিনি এ প্রস্তাবটি তুলেছেন তিনিই বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মুজিবের বিচার হয়েছে বলে উল্লাস করেছিলেন।’
২০ দলীয় জোটের মুখপাত্র বলেন, ‘১৯৭০ সালে যারা স্বাধীন পূর্ববাংলার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাদের নাম ইতিহাসে নেই। সূর্যের চেয়ে বড় নক্ষত্র আছে। কিন্তু সূর্য কাছাকাছি দেখে তাকেই বড় মনে হয়। আজকে যারা মুক্তিযুদ্ধের ফেরি করে বেড়ান আপনারা কি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন? যখন মনে হয় যুদ্ধে আপনাদের দেখি নাই অথচ সব কৃতিত্বের দাবিদার হয়ে আছেন তখন মনে বড় কষ্ট লাগে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টির প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, নবাব আলী আব্বাস, মুজিবর রহমান, এ এস এম শামিম, মহসিন সরকার প্রমুখ।