বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ জেলা, মারা গেছেন ৪১ জন
সাম্প্রতিক অতিবর্ষণজনিত কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৩৩টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বন্যায় এ পর্যন্ত ৪১ জন মারা গেছেন বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
বন্যাকবলিত জেলাগুলো হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৫১০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৫০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে চার কোটি ২৭ লাখ এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার ৭০০ টাকা।
শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৯১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫৬ টাকা। গো-খাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিতরণের পরিমাণ এক কোটি ৭৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৬৮ হাজার। এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৩৭ হাজার ৩৩৬ প্যাকেট।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ঢেউটিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪০০ বান্ডিল। এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল। ঘর মেরামত বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।
বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৬৫টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা এক হাজার ৮৬টি। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৩১৩টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৫১ হাজার ৫৮৬ জন।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোয় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ২৯৫টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত লোকসংখ্যা ৪০ হাজার ৩৬০ জন। আশ্রয়কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৪০৮টি। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৮২৪টি এবং বর্তমানে চালু আছে ২৫৮টি।