বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন চান তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যারা সামনে থেকে অংশ নিয়েছে, তাদের মাধ্যমেই যে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা নয়। দেশি-বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি রচনা করা হয়েছে। একটি কমিশন গঠন করে এ কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করা জরুরি।’
‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে (একাংশ) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিনের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিতে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
‘এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিরাট একটি ষড়যন্ত্র ছিল, সে ষড়যন্ত্রের অনেক নট-নটী ছিল, সুতরাং এই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি সেটি আমরা আজ না করি, তাহলে আজ থেকে শতবর্ষ পরে যে ইতিহাস লেখা হবে, সেখানে কুশীলবদের নাম থাকবে না, কারা এই ষড়যন্ত্র করেছিল, তাদের সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রজন্ম জানতে পারবে না, পৃথিবীর ইতিহাস সেটি জানতে পারবে না।’
ড. হাছান বলেন, ‘তাই শত শত বছর পরের ইতিহাসে যাতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের নাম লিপিবদ্ধ থাকে, ইতিহাসকে সত্য জানাতে হয়, সে জন্য এবং ইতিহাসের সত্য উদ্ঘাটনের স্বার্থে এবং ভবিষ্যতের জন্য ঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজনে আমি মনে করি, আপনারা মনে করেন, দেশের মানুষ মনে করে হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনের স্বার্থে একটি কমিশন করা এবং যারা জীবিত আছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা। এটি না হলে ইতিহাসের কাঠগড়ায় হয়তো আমাদের দাঁড় করানো হতে পারে, সে জন্যই এটি করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’
‘বঙ্গবন্ধুকে যে বছর হত্যা করা হয়, সে বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং তখন বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ছিল, অনেক পরিসংখ্যান অনুযায়ী সে বছর ১০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল’, বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি আরো বলেন, ‘সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশ যাতে ভবিষ্যতে মাথা উঁচু করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, সে জন্য বঙ্গবন্ধু অনেক আইন করেছিলেন এবং সেসব আইনের ভিত্তিতেই আমরা পরবর্তী সময়ে সমুদ্রসীমা, স্থলসীমা, তেল-গ্যাস ক্ষেত্রে নিজেদের অধিকারসহ অনেক কিছু অর্জন করেছি।’