ফরিদপুরে যুবদলের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা
ফরিদপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে জেলা যুবদলের মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের আলিপুরে গোলপুকুর ড্রিম মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলিমুজ্জামান বেইলি ব্রিজের কাছে থেকে জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মুজিব সড়ক হয়ে গোলপুকুর ড্রিম মার্কেট পেরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির হয়। এর একপর্যায়ে মিছিলের ব্যানার কেড়ে নিয়ে তাদের ওপর লাঠিপেটা শুরু করে। এতে কয়েকজন নেতাকর্মী আঘাত পান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপিনেতা দেলোয়ার হোসেন দিলা, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আরমান হোসেন, ওমর ফারুক রাজু, জব্বার জমাদ্দার ও মাহিদুল ইসলাম কাকন, যুগ্ম সম্পাদক শামীম তালুকদার, নুরুল আলম ও রিনজু তালুকদার, ছাত্রদল নেতা আদনান হোসেন খান আমানুল্লাহ আমান, অনিক হোসেন, মাহিদুল ইসলাম স্মরণ, হায়দার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে এগুতে থাকলে পুলিশ সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে ব্যানার কেড়ে নিয়ে লাঠিপেটা করে। এতে নেতাকর্মী আহত হন।’
অপরদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদ এবং মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ফরিদপুর শহরের আলীপুর গোরস্থানের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে মুজিব সড়ক দিয়ে জনতা ব্যাংকের মোড় ইমাম স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শহিদ পারভেজ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান মুছা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন, সাবেক সহদপ্তর সম্পাদক দিলদার হোসেন, সাবেক সদস্য সাব্বির খান, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসানুর রহমান মৃধাসহ আরো অনেকে।
বক্তরা বলেন, বর্তমান জালেম সরকারের নিয়ন্ত্রিত আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ এবং তাঁর (খালেদা জিয়া) নিঃশর্ত মুক্তি কামনা করছি।