ফরিদপুরে করোনায় মৃত লাশ সৎকারে আবারও জেলা পুলিশ
ফরিদপুরের শহরতলির মুন্সিবাজার এলাকার প্রবীর সাহা (৬৫) নামের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত বুধবার মারা যান। এরপর প্রবীরের সৎকারে তাঁর ধর্মের বা পরিবারের কেউ এগিয়ে আসেনি। ঘটনা জানার পরই পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানের নির্দেশে জেলা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সৎকার করে।
জানা যায়, জেলার মুন্সিবাজার এলাকার দেওড়া শ্মশানে প্রবীর সাহাকে চিতায় নেওয়া, তাঁকে কাঠ দিয়ে সাজানো এবং সব নিয়ম মেনে জেলা পুলিশদের নিয়ে তাঁর সৎকারের ব্যবস্থা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন।
এর আগে গত ৩১ মে একইভাবে শহরের পুরাতন কালীবাড়ীর সেবাইত কমলেশ চক্রবর্তী ভানু নামের এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়। তাঁর লাশের সৎকারেও বাধা দেয় এলাকাবাসী। পরে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে মরদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে নিজেরাই। যা জেলায় পুলিশের ভাবমূর্তি অন্য এক ধারায় নিয়ে গেছে বলে মনে করেন অনেকে।
এ ছাড়া জেলায় করোনায় মৃত যেকোনো ব্যক্তির দাফনে জেলা পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে একের পর এক।
এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাই প্রবীর সাহা নামের এক ব্যক্তি করোনায় মারা গেছেন। এ সময় পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে আমাদের সদস্যরা গিয়ে চিতা সাজানো থেকে শুরু করে হিন্দু নিয়মে যা যা করা দরকার তার সবকিছু করে তাঁর সৎকার করি।' তিনি আরো বলেন, 'আমরা পুলিশ প্রশাসন থাকতে করোনায় মৃত কোনো ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে হবে না।'
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, 'আমরা খবর পাই এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে তাঁর লাশ সৎকারে কেউ এগিয়ে আসছে না। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জেলা পুলিশের টিম গিয়ে লাশ সৎকার করে। আমাদের একটি টিম করেছি লাশ দাফন ও সৎকার করার জন্য। তারা যেখানেই করোনায় কেউ মারা যাচ্ছে তাদের দাফন ও সৎকারে সব ধরনের ব্যবস্থা করছে।'