ফরিদপুরে ওসি ও চিকিৎসকসহ ৭২ জনের করোনা শনাক্ত
ফরিদপুরে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চার পুলিশ সদস্য, দুই চিকিৎসক ও তিন স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরো ৭২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালে স্থাপিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে ফরিদপুরে মোট দুই হাজার ১৩৭ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত করা হলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার ফমেক হাসপাতালের ল্যাবে মোট ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হয়নি ২৫১ জনের। এর মধ্যে ফরিদপুরের ১১টি ফলোআপসহ মোট ৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে ৭২ জনের। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে ফলোআপসহ ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ফরিদপুরে নতুন শনাক্তদের মধ্যে কোতোয়ালি থানার ওসি মোরশেদ আলম, দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বেলাল হোসেন, একজন কোর্ট পুলিশ ও ফরিদপুর পুলিশ লাইনের একজন কনস্টেবল রয়েছেন। এ ছাড়া র্যাব-৮ ফরিদপুরের এক সদস্যের শরীরেও করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া দুজন চিকিৎসক, তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন ব্যাংক কর্মকর্তা, পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মচারী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার শরীরেও করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ফরিদপুরে নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ৬০ জন, মধুখালী উপজেলার সাতজন, বোয়ালমারী উপজেলার দুজন, সালথা উপজেলার দুজন ও ভাঙ্গা উপজেলার একজন রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফরিদপুরে মোট শনাক্ত দুই হাজার ১৩৭ জনের মধ্যে সদরের ৯৮১ জন, ভাঙ্গার ৩৩৩ জন, বোয়ালমারীর ২৫৫ জন, সদরপুরের ১৩৭ জন, নগরকান্দার ১৩৫ জন, চরভদ্রাসনের ৯২ জন, মধুখালীর ৭০ জন, সালথার ৬৯ জন ও আলফাডাঙ্গার ৬৫ জন রয়েছেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি ও দ্বিতীয় কর্মকর্তার করোনা শানক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ফরিদপুর সদরে বেশি। ফরিদপুর সদরের বাসিন্দাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে ক্রমবর্ধমান এ ধারা কমবে না। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ‘বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার আরো কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে এতে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। সচেতন ও সতর্ক না হলে এ অবস্থার উন্নতি হওয়া একটি কঠিন বিষয়।’