প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ছাত্রলীগ নেতা, গণধোলাই
নাটোর সদর উপজেলায় এক দুবাইপ্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অসামাজিক কাজ করতে গিয়ে এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম মো. শাহিন আহাম্মেদ রকি (২১)। গতকাল শনিবার রাতে ওই নেতা গণধোলাইয়ের শিকার হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার দুবাইপ্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে বসবাস করেন। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ওই গৃহবধূর ওপর নজর পড়ে পাশের ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি রকির। তিনি গতকাল রাত ৮টার দিকে ওই প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে কথাবার্তা বলা শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টায় দিকে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাঁকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয়।
এদিকে, এলাকাবাসী গৃহবধূ ও দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে রকিকে গণধোলাইয়ের পর আটকে রেখে মীমাংসার চেষ্টা করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, আটক ছাত্রলীগ নেতা রকি দীর্ঘদিন ধরে ওই প্রবাসী স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করে আসছিলেন। গতকাল রাতে তাঁকে প্রবাসীর স্ত্রীর বাসা থেকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করেন স্থানীয়রা।
এদিকে এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা রকির চাচা মাসুদ রানা এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, ' আমার ভাতিজা ও প্রতিপক্ষের দুজন অন্য একটা বিষয় নিয়ে ঝগড়া করছিল। এ সময় ওই প্রবাসীর স্ত্রী ঝগড়ার শব্দে বাড়ির দরজা খুলে বাইরে বের হন। এ সময় প্রতিপক্ষের ওই দুজন আমার ভাতিজাকে জোর করে ওই প্রবাসীর ঘরে ঢুকিয়ে শেকল তুলে দেন। এর পর স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী মামলা করতে চাইলে আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করি। আর এ ব্যাপারে আমি ওই নারীর স্বামী জামালের সঙ্গে কথা বলেছি। আসলে বিষয়টাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অন্য খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে ।'
নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল মাসুম বলেন, 'রকির ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'এ রকম ঘটনা শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানি না।'