প্রচারে ব্যস্ত দুই সিটির কাউন্সিলর প্রার্থীরাও
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে প্রচারে পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গণসংযোগ আর পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠকে।
বেশিরভাগ প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি জানালেও কেউ কেউ কথা বলেছেন অভিযোগের সুরে। সিটি নির্বাচন হতে বাকি সপ্তাহের কিছু সময়। এরই মধ্যে প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাজধানীর ওলিগলি।
নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা, নির্বাচনে কে হবেন সিটি মেয়র তা নিয়ে অনেক আলোচনা। এ ছাড়া প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নির্বাচনে জয়ী হতে সকাল হতে রাত অব্দি গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আসিফ আহম্মেদ বলেন, ‘আমি কাউন্সিল নির্বাচিত হলে বাংলাদেশে প্রথম নো ড্রাগ ওয়ার্ড ঘোষণা করব। দ্বিতীয়ত : এখানে কিশোর গ্যাংয়ের একটা ঝামেলা আছে, তার জন্য পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আত্ততায় আনব। এ ছাড়া এই ওয়ার্ডকে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটালাইজড ওয়ার্ড ঘোষণা করা হবে।’
অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সর্মথক কাউন্সিলর প্রার্থী মির্জা আসলাম আসিফ বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে। সুষ্ঠু ভোট হলে ইনশা আল্লাহ শতভাগ আমরা আশাবাদী। আমি জনগণকে বলব, আমার জন্য দোয়া করতে এবং আমাকে যেন অবশ্যই ভোটটা দেন।’
১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আশা করি, আমরা বিপুল ভোটে জয় লাভ করবো। সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখব যুবকদের, তারা যেনো মাদক সেবনে না যায়। আর বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে।’
৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন রুবেল বলেন, ‘আমরা সুশৃঙ্খলভাবে সবাই সমানভাবে প্রচারের সুযোগ পাচ্ছি। আমি শতভাগ আশাবাদী, মানুষের ভালোবাসা ও দোয়ায় বিজয় আমার সুনিশ্চিত।’
এদিকে বেশির ভাগ প্রার্থী নির্বাচনের প্রচারের পরিবেশে সন্তুষ্ট হলেও দুই-একজন অসন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল প্রার্থী মীর আশরাফ আলী আজম বলেন, ‘আমাদের পোস্টার সকালে লাগালে রাতে ছিঁড়ে ফেলে প্রতিপক্ষ যিনি আছেন। এ ছাড়া আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কেউ পোলিং এজেন্টে যেতে পারবে না, কাজ করতে পারবে না।’