পদ্মা সেতু হলে অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জম্মশতবার্ষিকীতে দেশের মানুষের কাছে আমাদের অঙ্গীকার সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। যখন আমাদের পদ্মা সেতু হবে, তখন এ এলাকার অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে। ওই সময় সকল ছেলে মেয়েদেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।’
আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য অনেক কষ্ট করেন। তাঁরা কাজের জন্য মানুষ পায় না। আর আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে। আমাদের ১৫ থেকে ৫৯ বয়সের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হচ্ছে ৬১ ভাগের মতো। এরা সবাই কর্মক্ষম। এদের যারা লেখাপড়া করেছে আমরা তাদের কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে সুন্দর করে যাতে তারা ভাল ভাল চাকরি পায় সে ব্যবস্থা করব। যাদের সেটা সম্ভব নয়, তারাও যাতে কিছু করে খেতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করে দেব অবশ্যই। আমরা এটা বলতে পারি আজকে যারা বড় হচ্ছে, যারা স্কুলে লেখাপড়া করছে। তাদের কখনো চাকরির অভাব হবে না। এখানে চাকরি হবে। গোপালগঞ্জে আমরা ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্যাক্টরি করে দিয়েছি। এখানে অসংখ্য কারখানা হবে।’
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর একটি চিন্তা ছিল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। এ দেশের সকল মানুষ যারা না খেয়ে থাকে, এদের খাবার যোগান দেওয়া। যাদের কর্মসংস্থান নেই, তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া। নানবিধভাবে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা চেতনায় ছিল একটি স্বাধীন দেশ আর স্বাধীন দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং তারা কেউ না খেয়ে থাকবে না, তাদের বাসস্থানের অভাব থাকবেনা, তারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবেনা। একটা আলোকিত সমাজ ব্যবস্থা তিনি কায়েম করার চেষ্টা করেছিলেন। এর মাধ্যমে স্বপ্ন দেখতেন একদিন বাঙালি জাতি সারা বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে সবার ওপরে অবস্থান নেবে। এ ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আমরা সেই স্বপ্নটি বাস্তবায়ন করার জন্য যা যা করা দরকার, আমরা অবশ্যই তা করব।’
এর আগে অর্থমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করেন।
ওই সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।