বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বিরোধী দল ও মতশূন্য একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্যই গুমকে পথের কাঁটা দূর করার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একের পর এক মানবতাবিরোধী অপরাধ করে যাচ্ছে।’

আজ রোববার গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে গুমের আতঙ্ক এখন সর্বত্র পরিব্যাপ্ত। ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন থেকে সৃষ্টি হয় গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো মানবতাবিরোধী হিংস্রতা। ফ্যাসিবাদী সরকারের অনুগত ব্যক্তিদের দ্বারা গড়ে তোলা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে বিরোধী দলের প্রতিবাদী নেতাকর্মী ও স্বাধীনচেতা মানুষকে তুলে নিয়ে যাওয়া এখন নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা বিরোধী দল ও মতের মানুষদের অল্পদিন-দীর্ঘদিন অথবা চিরদিনের জন্যে নিখোঁজ করে দেয়। যারা ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি, তারা জীবিত না মৃত তা অজানাই থেকে যাচ্ছে। গুম হচ্ছে একদলীয় ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের নমুনা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ।’

বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বিরোধী দল ও মতশূন্য একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতেই গুমকে পথের কাঁটা দূর করার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একের পর এক মানবতাবিরোধী অপরাধ করে যাচ্ছে। এই নৃশংস গুমের শিকার হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, সুমন, জাকির, মুন্নাসহ অসংখ্য মানুষ। আরেকটি অভিনব গুমের শিকার হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাঁকে দুই মাস গুম করে রাখার পর পাচার করা হয়েছে অন্য দেশে। এসব ঘটনা দেশবাসীকে অজানা আতঙ্কে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।’

গুমের মতো ভয়াবহ ও রোমহর্ষক পরিস্থিতির শিকার মানুষদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।