ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকারটুকুও অবশিষ্ট নেই : শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ও অধিকার আদায়ের জাতি। অথচ আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন মুক্তিযুদ্ধ আর গণতন্ত্রের এই মহান জাতিকে এখন সারা বিশ্বে স্বৈরতান্ত্রিক জাতি হিসেবে রূপান্তরিত করেছে।
‘গোটা দেশের মানুষ এখন দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। কোথাও মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকারটুকুও অবশিষ্ট নেই। এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশে নৈরাজ্য বাড়ে, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, গুম-খুন আর ধর্ষণের মহোৎসব চলে দেশে’, যোগ করেন বিএনপিনেতা।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, পেঁয়াজসহ সব নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এই জিনিসগুলোর যে দাম বেড়েছে এই দামটা কিন্তু কৃষকরা পাচ্ছে না। এসব টাকা একটি গোষ্ঠী, একটি সিন্ডিকেট যারা সরকারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তারা লুটেপুটে নিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
‘গত ১২ বছর ধরে দেশের জনগণ দুর্বিষহ যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ দেশের জনগণকে ১৬ টাকা সের চাল যে নেত্রী খাইয়েছেন, সেই নেত্রীকে বর্তমান জালিম সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আইনের তোয়াক্কা না করে এবং বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে জেলে আটক করে রেখেছে।’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমরা এখন দেশের পুলিশ, প্রশাসন, আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে অপবাদ দিচ্ছি। বলছি, তাঁরা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। তাঁরাই স্বৈরতন্ত্রকে টিকিয়ে রেখেছে। কিন্তু কেন আমরা তাদের অপবাদ দেই। আসল সত্যিটা হচ্ছে- সরকার পুলিশ, প্রশাসন, আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে বাধ্য করেছে, তাদের কথা ও চাওয়ামতো কাজ করতে। সেজন্যই চাকরি বাঁচানোর তাগিদে পুলিশ-প্রশাসন এখন সরকারের কথা শুনতে বাধ্য হচ্ছে। তাই তারা এই অপবাদের শিকার হচ্ছে।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্র গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশে এখন ন্যূনতম গণতন্ত্র নেই। যদি দেশের জনগণ, বিরোধীদল কিংবা মিডিয়া এই সরকারের বিরুদ্ধে সত্যি কথা বলে তাহলে সরকার হামলা-মামলা দিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করে। সুতরাং এ দেশে আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে না পারলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না।’