'ন্যায়বিচার পাইনি, উচ্চ আদালতে যাব'
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে গুলি রাখার অপরাধে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুটি আদেশ একসঙ্গে কার্যকর হবে।
আজ সোমবার দুপুর ২টায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরেই সাহেদকে আদালত থেকে প্রিজনভ্যানে করে কারাগারের উদ্দেশে নেওয়া হয়।
সাহেদ প্রিজনভ্যানে উঠার সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে যাব, উচ্চ আদালতে আমি ন্যায়বিচার পাব।’
এর আগে মামলার রায় উপলক্ষে আজ দুপুরে সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তখন সাহেদের হাতে হাতকড়া, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট আর মাথায় হেলমেট ছিল।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর গত ১৯ জুলাই সাহেদকে নিয়ে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানে সাহেদের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি, একটি অবৈধ অস্ত্র ও ১৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। সে ঘটনায় সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ। আজকে সেই অস্ত্র আইনের মামলাটির রায় হয়েছে।
এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় আরো একটি মামলা আছে।
সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাড়ে চার হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে চার হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়েছেন। এসব ঘটনায়ও পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে।