নূর হোসেন যুবলীগ নেতা ছিলেন : তথ্যমন্ত্রী
শহীদ নূর হোসেনের বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নূর হোসেন গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি যুবলীগের নেতা ছিলন। নূর হোসেনকে নিয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গার বক্তব্য দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক- এই লেখা বুকে নিয়ে তখনকার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন নূর হোসেন। তাঁকে নিয়ে এমন অশোভন কথা বলা সঠিক হয়নি। আশা করব ভবিষ্যতে কেউ এমন বক্তব্য রাখবেন না।’
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে বিএনপিকে চালানো হচ্ছে। ফলে দলটির মধ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। এখানে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন না। সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। সিদ্ধান্ত আসে তাদের দলের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের কাছ থেকে। এ কারণেই সিনিয়র নেতারা দল থেকে চলে যাচ্ছেন।’
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের একটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বাবু বলেছেন বিএনপি একটি স্থায়ী বটগাছ। এই বটগাছের নিচে মানুষ আসবে বিশ্রাম নিয়ে চলে যাবে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, গয়েশ্বর বাবু নিজেই কখন বিএনপির বট গাছের নিচ থেকে চলে যান। সেই প্রশ্ন এখন অনেকেই তুলেছে। বিএনপি থেকে যেভাবে তাদের সিনিয়র নেতারা দল ত্যাগ করে চলে যাচ্ছে এই ছেড়ে যাওয়ার তালিকায় আরো বহুজন আছে সেগুলো বিএনপির নিশ্চয়ই দেখতে পাবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই হতাশাজনক পরিস্থিতিতে গয়েশ্বর বাবু নিজের হতাশা কাটানোর জন্য এই ধরনের কথা বলেছেন। তারা যে নেতিবাচক রাজনীতি করে তাতে দল থেকে এভাবে নেতারা চলে যাওয়া থামাতে পারবে না। বিএনপির রাজনীতি আবর্তিত হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন, এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসা- মামলা, তারেক জিয়ার মামলা, খালেদা জিয়ার মামলার মধ্যে।’
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা কেউ আওয়ামী লীগে কেউ যোগ দিচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ যে যোগদানের জন্য যোগাযোগ রাখছে না, তা নয়। আওয়ামী লীগ যেনতেন কাউকে দলে নেবে তা নয়, অনেকে দল ত্যাগে উন্মুখ হয়ে আছে। ভবিষ্যতে কী হয় তা দেখতে পাবেন।’