নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজে হাত দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার প্রণয়নের কাজে হাত দিতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক বছর পর আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলীয় প্রধান এ নির্দেশনা দেন বলে জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মূলত ফোকাস ছিল সাংগঠনিক ও পরবর্তী নির্বাচনের বিষয়। এ ছাড়া আমাদের উপকমিটিগুলোকে সভা-সেমিনারের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচনে আমাদের ইশতেহার কী হবে ও আগামী নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের কাজে হাত দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নেত্রী বিভাগগুলোর সাংগঠনিক সম্পাদকদের বক্তব্য শুনেছেন। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে সারা দেশের চিত্র তুলে ধরেছেন সাংগঠনিক সম্পাদকেরা। তারা ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে বিভাগ পর্যন্ত বিষয়গুলো লিখিত আকারেও নেত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। এ সময় কিছু ছোট ছোট কলহ আছে, সেগুলোও মীমাংসা করার কথা বলে দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের। এ সময় নেত্রী পাবনা পৌরসভা নির্বাচনের বিদ্রোহীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন।’
সারা দেশে নেতাকর্মীরা ঘুরে ঘুরে করোনা মোকাবিলা করার জন্য কাজ করেছেন তা উল্লেখ করে সার্বিকভাবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় অপপ্রচার বেশি হচ্ছে। অপপ্রচার মোকাবিলা করতে হবে বলেও সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নোয়াখালী আওয়ামী লীগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, নোয়াখালীর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, নেত্রী একটি কাঠামো তৈরি করে দিয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ আল স্বপন দেশে এলে সিদ্ধান্ত হবে।
এ সময় সাংবাদিকেরা ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চান আপনি নাকি অব্যাহতি নিতে চাচ্ছেন। আপনার ছোট ভাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে এমন মন্তব্য করেছেন। আপনার মন্তব্য জানতে চাই। এর উত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিছু জানি না।’